Blog post

Friday, August 14, 2015

যে কোন মূল্যে ‘কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ’( ভোলা ) কে রক্ষা করা হবে, বাণিজ্যমন্ত্রী ।




ভোলার উন্নয়নে বড় বাধা হচ্ছে নদী ভাঙ্গন তাই যে কোন মূল্যে নদী ভাঙ্গন থেকে ভোলাকে রক্ষা করা হবে
শুক্রবার দুপুরে সদরের ইলিশা ইউনিয়নে ভাঙ্গন কবিলত এলাকা পরিদর্শন শেষে আয়োজিত জনসভায় পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিছুল ইসলাম মাহমুদ বাণিজ্যমন্দ্রী তোফায়েল আহমেদ পৃথক বক্তব্যে এসব কথা বলেন
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভাঙ্গনের কারণে ইলিশা রাজাপুরের বহু পরিবার গৃহহারা হয়ে গেছে, সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ভোলার সাথে ২১ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি দেশের মধ্যে ভোলাকে সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী জেলার রুপান্তিত করার, কিন্তু এর উন্নয়নে প্রধান বাধা হয়ে দাড়িয়েছে নদী ভাঙ্গন তাই জেলাকে রক্ষা করতে হলে যে কোন মূল্যে ভাঙ্গন রোধ করতে হবে
পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিছুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দেশের যেখানেই সমস্যা হয় সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের যেতে হয় এরই ধারাবাহিকতায় ভোলার নদী ভাঙ্গন সমস্যায় আমাদের আসতে হয়েছে জেলার ভাঙ্গন রোধে যত অর্থ ব্যায় হোক না কেন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দির্দেশ দেয়া হয়েছে পরবর্তিতে স্থায়ী পদক্ষেপ নিয়ে ভোলাকে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা হবে সময় পানি সম্পদমন্ত্রী ভোলার ভাঙ্গন রোধে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনসাধারনের সহযোগিতা কামনা করেন
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন, ভোলা- আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাঈনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা লীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস ছাড়াও দলীয় অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন, জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানসহ জেলা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তরা
এর আগে সকাল থেকেই ভোলা-লক্ষীপুর-বরিশাল সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ভোলার ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান স্থানীয়রা


‘কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ’ যুক্ত হলো জাতীয় গ্রিডে




এই প্রথম উচ্চক্ষমতার জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হলো দক্ষিণের দ্বীপজেলা ভোলা প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ ভোলার বোরহানউদ্দিনে ২শ২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু ভোলার গ্যাস দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে ছড়িয়ে যাবে সারা দেশে এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে ১শ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে পরবর্তীতে বাকী ৯৫ মেগাওয়াট আগামী অক্টোবর নাগাদ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) নির্মিতবরিশাল-ভোলা ২শ৩০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন১৮ জুন চালু করা হয়েছে লাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মৃণাল কান্তি পাল বলেন, ওই দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ৬৩ কিলোমিটার লাইনটিতে বরিশাল প্রান্ত থেকে সফলভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু করা হয়
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লাইনটি নির্মাণের জন্য উত্তাল কালাবদর তেঁতুলিয়া নদীবক্ষের প্রায় কিলোমিটার প্রশস্ত এলাকায় ৭টি উঁচু টাওয়ার স্থাপন করতে হয়েছে প্রতিটি টাওয়ারের উচ্চতা ৪শ৩০ ফুট ৩শ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই উচ্চক্ষমতার ডাবল সার্কিট লাইন দিয়ে ৭শমেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা যাবে এর আগে ৩৩ কেভি ক্ষমতার একটি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ভোলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো তাতে প্রায়ই বিঘœ সৃষ্টি হতো নতুন লাইন চালু হওয়ায় বরিশাল-ভোলা খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা গুণগতভাবে উন্নত হবে
বোরহানউদ্দীন উপজেলায় বাপেক্স প্রাকৃতিক গ্যাস আবিষ্কার করে ১৯৯৬ সালে সেখানে তখন দুটি কূপ খনন করা হয় কিন্তু দীর্ঘদিন এই গ্যাসের কোনো ব্যবহারই ছিল না এরপর প্রথমে ৩৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয় তবে সেটি কখনো ভালোভাবে পূর্ণ ক্ষমতায় চলেনি এরপর ২শ২৫ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প নেয়া হয়
সেখানে আরও দুটি গ্যাসকূপ খনন করা হয় এখন ভোলায় দৈনিক গ্যাস উত্তোলনের ক্ষমতা প্রায় কোটি (৮০ মিলিয়ন) ঘনফুট এই গ্যাসের প্রায় সাড়ে তিন কোটি ঘনফুট ব্যবহৃত হবে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ছাড়া আগের ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রটি এবং ইতিমধ্যে ভোলায় আবাসিক গ্রাহকদের দেয়া সংযোগের বিপরীতে ব্যবহৃত হবে আরও প্রায় দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস
এরপর ভোলায় আরও একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে অপরদিকে সেখানে গ্যাসের মজুত নির্ধারণের জন্য বাপেক্স ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ করেছে এখন তার তথ্য বিশ্লেষণের কাজ চলছে আগের হিসাবে ক্ষেত্রটিতে গ্যাসের মজুত অর্ধ টিসিএফের মতো ত্রিমাত্রিক জরিপে মজুত বেশি থাকার সম্ভাবনা দেখা গেলে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং আরও কিছু শিল্প কল-কারখানা স্থাপন করা হবে
২শ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উত্তোলন কাজে নিয়োজিত চায়না চেংগাই কোম্পানীর প্রজেক্ট প্রকল্প পরিচালক
তিনি  বলেন, সফলভাবে দুটি পর্যায়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন সময় পাবেন ঠিক তখনই এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে
 
Blogger Templates