চরফ্যাশন উপজেলা ।
চরফ্যাশন উপজেলার নাম করনের ভূমিকাঃ
প্রত্যেকটি বস্ত্ত
বা
এলাকার
একটি
নাম
থাকাটাই স্বাভাবিক। আর
এই
নাম
থাকার
পিছনেও
থাকে
বিভিন্ন যুক্তি
বা
সার্থকতা। এ
এলাকাটির নাম
চরফ্যাশন হওয়ার
পিছনেও
যথেষ্ট
যুক্তি
রয়েছে।
যেমন-এ চরফ্যাশন পূর্বে
কখনো
নোয়াখালী, কখনো
বরিশাল
আবার
কখনো
বা
পটুয়াখালীর গলাচিপার সাথে
সংযুক্ত ছিল।
বর্তমানে চরফ্যাশন থানাটি
ভৌগলিক
অবস্থান কিন্তু
পূর্বে
এমন
ছিল
না।
এ
চরফ্যাশন ছিল
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য
চর।
ঠিক
তখনই
বরিশালের জেলা
ম্যাজিষ্ট্রেট এইচ,জে,এইচ ফ্যাশন
সাহেব
১৮৮৫-৮৭ সালের দিকে
প্রশাসনিক ভাবে
এ
অঞ্চলের চরগুলির প্রতি
দৃষ্টি
দেন
এবং
এলাকার
প্রান
কেন্দ্র বর্তমান চরফ্যাশন বাজারটি গঠন
করেন।
মিঃ
ডোনাবানের পরিকল্পনা অনুসারে প্রস্তাবিত এ
বাজারের নাম
রাখা
হয়
চরফ্যাশন বাজার।
পরবর্তীতে এলাকার
একমাত্র প্রানকেন্দ্র চরফ্যাশন বাজারের নাম
অনুসারে গোটা
এলাকার
নাম
করন
করা
হয়
চরফ্যাশন। তিনি
চরফ্যাশনের উন্নতির জন্য
সর্বাত্মক চেষ্টা
করেন।
চরফ্যাশন উপজেলায় উন্নীত হওয়ার ধারাবাহিক পর্যাক্রম
: চরফ্যাশন উপজেলা
আয়তনের
দিক
থেকে
কত
বড়
তা
দেশের
নেতৃবৃন্দের অনেকেই
জানেন
না।
শুধু
আয়তনই
নয়,
লোক
সংখ্যার দিক
থেকেও
বাংলাদেশের অনেক
জেলার
লোক
সংখ্যা
চেয়ে
বেশি।
১৯৬৮
ইং
সালে
গঠিত
হয়
চরফ্যাসন থানা।
১৯৮২
সালের
১৫
ডিসেম্বর চরফ্যাশন থানাকে
মান
উন্নীত
করা
হয়।
মান
উন্নিত
থানা/উপজেলার প্রথম উপজেলা নির্বাহি অফিসার
জনাব
বিনয়
কৃষ্ণ
কর্মকার। তিনি
চরফ্যাশন উপজেলাকে সুন্দর
ভাবে
গড়ে
তোলার
বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। চরফ্যাসন উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি
উন্নয়ন
কর্মকান্ড ছাড়াও
বিভিন্ন এন,জি,ও সংস্থাও উন্নয়নের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে
আসছেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা ।
ভোলা দ্বীপটি পদ্মা,
মেঘনা
ও
বহ্মপুত্র নদীর
শাখা
প্রশাখায় বাহিত
পলি
দ্বারা
গঠিত।
পলি,
লতা-পাতা ও কচুরিপানা ভাসমান
অন্যান্য আবর্জনা ধীরে
ধীরে
জমা
হয়ে
প্রবাল
দ্বীপের ন্যয়
চর
পড়া
শুরু
হয়,
এর
সাথে
পলি
জমে-এ মূল ভূখন্ডের উৎপত্তি হয়
। এই দ্বীপের বয়স
প্রায়
৫০০
বছর
।
ভোলা নামকরণের পিছনে
স্থানীয়ভাবে একটি
কাহিনী
প্রচলিত আছে
। ভোলা শহরের
মধ্যে
দিয়ে
বয়ে
যাওয়া
বেতুয়া
নামক
খালটি
এখনকার
মত
অপ্রশস্ত ছিলনা
। এক সময়
এটা
পরিচিত
ছিল
বেতুয়া
নদী
নামে
। খেয়া নৌকার
সাহায্যে লোকজনের পারাপারের কাজ
চলত
। খুব বুড়ো এক
মাঝি
এখানে
খেয়া
নৌকার
সাহায্যে লোকজনকে পারাপারের কাজ
করত
। তার নাম
ছিল
ভোলা
গাজী
পাটনী
। আজকের যুগিরঘোলের কাছেই
তার
আস্তানা ছিল
। এই ভোলা
গাজীর
নাম
অনুসারেই এক
সময়
স্থানটির নামকরণ
হয়
ভোলা।
ভোলা জেলার
অন্যতম
একটি
উপজেলা
হলো
বোরহানউদ্দিন উপজেলা। তৌজি
নং-৬৪৩৮-৩৯, পরগনা
কৃষ্ণ
দেবপুর,
জেলা
বাকেরগঞ্জ, ফরিদপুরের উপসীর
কালী
প্রসন্নের নামানুসারে কয়েক
বছর
বর্তমান বোরহানউদ্দিন উপজেলা
কালীগঞ্জ নামে
পরিচিত
ছিল।
১৮৭২
সালের
১৫ই
জানুয়ারি এই
অঞ্চল
সার্ব
হয়।
এরপর
ইহা
বোরহানউদ্দীন হাওলাদারের হাট
নামে
পরিচিতি লাভ
করে।
তখন
বরমগঞ্জ (বর্তমান বোরহানগঞ্জ অথবা
বরহানগঞ্জ বাজার)
এলাকা
ভট্টচার্য্যদের আর
বোরহানউদ্দীন হাট
এলাকা
হাওলাদারদের ছিল।
১৯৩৯
সালের
দিকে
বর্তমান বোরহানউদ্দিন জামে
মসজিদের মুসল্লিদের ব্যবহারের নিমিত্তে তৈরী
পুকুরের ঘাটলা
বন্ধ
করে
দেওয়ায়
মুসলমানদের ভিতর
বিরূপ
প্রতিক্রিয়া দেখা
দেয়।
প্রথমে
কয়েক
দখা
মামলা
মকদ্দমা পরে
সংঘস্য
হয়।
অনেক
তিক্ততার পোলের
পোড়া
হতে
বর্তমান থানা
পর্যন্ত রাস্তার উভয়
পাশে
মোট
৫৫
ফুট
যায়গা
বোরহানউদ্দিন হাওলাদারের নামে
বন্দোবস্ত নিয়ে
বর্তমান নাম
(বোরহানউদ্দিন) দেয়া
হয়।
১৯৭৬
সালে
শৈলবালা চৌধুরানীর নিকট
থেকে
বর্তমান থানার
জায়গা
বন্দোবস্ত নেয়া
হয়
এবং
১৯২৮
সালের
১৭ই
আগষ্টের ১৮৯৬নং
চিঠির
বলে
নিয়মিতভাবে থানার
কার্যক্রম চলে
আসছে।
১৯৮৩
সালের
২রা
জুলাই
আনুষ্ঠানিকভাবে বোরহানউদ্দিন থানাকে
উপজেলায় উন্নিত
করা
হয়
এবং
৯টি
ইউনিয়ন
সমন্নয়ে এই
উপজেলা
গঠিত।
ইতিহাস
দৌলতখানের পটভূমিঃ
বাংলাদেশের উপকুলীয় ভোলার
দ্বীপন্জল ভোলার
পূর্বপ্রান্তে সর্বনাশী মেঘনার
তীরে
অবস্থিত দৌলতখান উপজেলা
। প্রচলিত কথায়,
ইতিহাসের ভাষায়
দৌলতখান ভদ্রলোকের বাসস্থান ।
এক
সময়
দৌলতখান ছিল
ভোলার
প্রান
কেন্দ্র ।
শতবর্ষ
পূ্র্বে এখানে
ছিল
মহাকুমা সদর
।সাগর
পারের
চর
জঙ্গল
আবেদত্ত কাহিনীর প্রথম
সূত্রপাত মেঘনা
তীরের
এই
দৌলতখানেই ।
মোঘল
আমলের
প্রথম
দিকেও
এই
এলাকা
ছিল
আরাকান
রাজ্যের মগ
, জলদস্যু ও
পর্তুগীজ ফিরিংঙ্গিদের আশ্রয়স্থল ।
বাংলার
মোঘল
সুবেদার মীর
জুমলার
মৃত্যুর পর
আমলগীরের মামা
এবং
সম্রাজ্ঞী নুরজাহানের ভাই
আসক
খানের
পুত্র
শায়েস্তা খানকে
বাংলার
সু্বেদার নিযুক্ত করা
হয়েছে
। তিনি ১৯৬৬
খিঃ
চট্রগ্রাম পর্তুগীজদেও দুর্গ
জয়
করেন
। এসময় মোগল
বাহিনীর দুর্ধর্ষ সেনাপতি শাহাবাজ খা
তাহার
একজন
দুঃসাহসিক সামান্ত সেনা
দৌলতখার সহায়তায় বঙ্গোপসাগর ও
মেঘনার
সঙ্গমস্থল সন্দীপ
ও
উত্তর
দিকে
মেঘনার
উপকুল
বাহিয়া
পর্তুগীজ জলদস্যৃ ও
আরাকানের মগদিগকে স্থল
ও
নৌ
যুদ্বে
পরাজিত
করে
তাহাদেরকে বিতারিত করে
এই
এলাকায়
স্থানী
স্থাপন
করেন
। অতপর মোঘলদের রীতি
অনুসারে মেঘনা
তীরের
তাদের
বিজিত
এলাকা
দুইভাগে বিভক্ত
করে
ইলিশা
নদির
উত্তর
দিকের
নাম
রাখেন
উত্তর
শাহাবাজপুর এবং
দক্ষিন
অংশের
নাম
রাখেন
দৌলতখা।
Naming history ( Charfashion, Burhanuddin, daulatkhan, tazumuddin, Lalmohon, manpura )দৌলতখান উপজেলা
একসময়
সম্ভ্যাম্ভ থাকল্রেও বর্তমানে নদী
ভাংনের
ফলে
দৌলতখানের ঐতির্য
বিলিনের পথে
। নয়টি ইউনিয়ন
নিয়ে
দৌলতখান উপজেলা
গঠিত
হলেও
বর্তমানে ০৩
টি
ইউনিয়ন
সম্পুর্ন রুপে
নদীগর্ভে বিলীন
হয়ে
গিয়েছে
। এবং দুইটি
ইউনিয়নর অনেকাংশ বিলীণ
। এমনি অবস্থায় দৌলতখান উপজেলার ৬০%
জনগন
প্রত্যক্ষ বা
পরোক্ষভাবে মেঘনা
নদীর
নির্ভরশীল ।
ইতিহাস
প্রাকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি মনপুরা হচ্ছে ভোলা দ্বীপ থেকে প্রায় ৮০ কিঃ মিঃ দুরত্বে সাগরের বুকে নয়নাভিরাম আরেকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। মনগাজী নামে এখানকার এক লোক একদা বাঘের আক্রমনে নিহত হন। তার নামানুসারে মনপুরা নাম করন করা হয়। ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে অত্র উপজেলাপট গঠিত হলেও বর্তমানে নবগঠিত ৪নং দক্ষিন সাকুচিয়া ইউনিয়ন গঠিত হওয়ায় বর্তমানে ইউনিয়ন সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪টি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে খ্যাত এ্ উপজেলায় রয়েছে প্রাকৃতির অপরুপ রুপ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ উপজেলায় চিন্তানিবাস করার ইচ্ছা পোষন করেছিলেন। প্রতি বছর শীতে শত শত পর্যটক ভীর করে এ উপজেলার নয়নাবিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এ উপজেলা থেকে মাত্র ৪০ মিনিটে ট্রলার যোগে নিঝুম দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। উপজেলা সদরে আবাসিক হোটেল ছাড়াও এখানে রয়েছে জেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাকবাংলো, কারিতাস ডাক বাংলো প্রভৃতি।
তজুমদ্দিন উপজেলার পটভূমি
তজুমদ্দিন উপজেলার পটভূমিঃ
জনৈক তমিজউদ্দিন এর নামানুসারে এ উপজেলার নামকরণ করা হয়। উপজেলার পূর্বে মেঘনা নদী, উত্তর ও পশ্চিমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা এবং দক্ষিণে লালমোহন উপজেলা। ১৮৭২ সালের ১৫ই জানুয়ারীর জরীপে ইহাকে দৌলতখাঁ থানার একটি আউটপোষ্ট হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২৮/০৮/১৯২৮ ইং তারিখ থেকে এই থানাটি একটি আলাদা থানার মর্যাদা পেয়ে আসছিল। মনপুরা এই থানার একটি ইউনিয়ন ছিল। নদীভাঙ্গনে এই থানা অতি সংকুচিত হয়ে আসছে। অপর দিকে যাতায়াত ও অন্যান্য কারণে মনপুরা আলাদা থানার স্বীকৃতি পাওয়ায় ইহার আয়তন আরো কমে যায়। ১৪/০৩/১৯৮৩ তারিখে ভোলা জেলার দ্বিতীয় উপজেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
we are the lucky team to explore this beautiful region, it really a awesome place to visit .
ReplyDelete