Blog post

Friday, August 14, 2015

ভোলা জেলার দর্শনীয় স্থান

1,

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল যাদুঘর



     কিভাবে যাওয়া যায়:
ভোলা সদর থেকে রিক্সা দ্বারা
১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হাবিবুর রহমান, মা মালেকা বেগম। ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন ১৬ ডিসেম্বর ১৯৬৭ সালে। বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালকে ১৯৭১-এর মার্চের মাঝামাঝি সময়ে কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে তাকে চতুর্থ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সদর দফতর ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বদলি করা হয় এবং সেখান থেকেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সাহস, বুদ্ধি ও কর্মতৎপরতা দেখে মেজর শাফায়াত জামিল তাকে যুদ্ধকালীন সময়েই মৌখিকভাবে ল্যান্সনায়েকের দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন। সে অনুসারে মোস্তফা কামাল ১০ জন সৈনিকের সেকশন কমান্ডার হন। ১৭ এপ্রিল সকাল থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দরুইন গ্রামে অবস্থানরত চতুর্থ রেজিমেন্টের ২নং প্লাটুনের ওপর মর্টার ও আর্টিলারি দিয়ে আক্রমণ চালায়। চারদিন ধরে ক্ষুধার্ত সেকশন কমান্ডার মোস্তফা কামাল ট্রেঞ্চের ভেতরে এলএমজি হাতে অতন্দ্র, অনড় আর অবিচলভাবে শত্রুদের মোকাবেলা করে যায়। তাকে দেখে সহযোদ্ধারা আরও আত্মবিশ্বাস পেয়ে লড়ে যায়। ১৮ এপ্রিল দুপুর থেকে শত্র“ সেনারা আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর দিক দিয়ে দরুইন প্রতিরক্ষা ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরকম অবস্থায় কৌশলগত কারণে পশ্চাৎপসরণ করা ছাড়া কোন গন্তব্য নাই। দরুইন প্রতিরক্ষা ঘাঁটির শুধু পূর্ব দিকটি ছিল শত্রুমুক্ত। সেদিক দিয়ে সৈনিকদের নিরাপদে যেতে হলে কাউকে এলএমজি দিয়ে কভারিং ফায়ার করতে হবে। মোস্তফা কামাল সহযোদ্ধাদের নিরাপদে যাওয়ার জন্য নিজেই কভারিং ফায়ার শুরু করেন। একে একে যুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরক্ষা ঘাঁটি থেকে নিরাপদে পৌঁছে তাকে চলে আসতে বলে। কিন্তু তার অবস্থান থেকে সরে যাননি কারণ, তিনি কভারিং ফায়ার বন্ধ করে পেছনে সরলেই শত্র“রা বুঝে নিবে তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছে। তিনি ট্রেঞ্চের ভেতরেই দাঁড়িয়ে থেকে ক্রমগত গুলি চালাতে চালাতে এক সময় শত্র“র গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে ঢলে পড়েন। গঙ্গাসাগর ও দরুইন অধিকার করে পাকবাহিনী সে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। স্থানীয়রা ট্রেঞ্চের কাছে গিয়ে দেখতে পায় বুলেটে ঝাঁঝরা এবং বেয়নেট বিদ্ধ মোস্তফা কামালের মৃতদেহ। বোঝা যায় শত্রুরা যখন ট্রেঞ্চে প্রবেশ করে, তখনও মোস্তফা কামালের দেহে প্রাণ ছিল। বর্বর হায়নারা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাকে হত্যা করে। গ্রামবাসী ওই গ্রামেই তাকে সমাহিত করেন। ভোলার দৌলতখান উপজেলার হাজীপুর গ্রামে ছিল মোস্তফা কামালের বাড়ি। ১৯৮২ সালে মেঘনার ভাঙন বাড়িটি কেড়ে নেয়। তখন তার পরিবার ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামে চলে আসে। সেখানেই সরকার শহীদ পরিবারকে ৯২ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দেয়। নির্মিত পাকা ভবনটির নাম রাখা হয়েছে শহীদ স্মরণিকা। ভবনটির সামনেই আছে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার।
অবস্থান:
আলীনগর
2, চর মনপুরা








কিভাবে যাওয়া যায়:
ভোলা থেকে প্যথমে তজুমুদ্দিন সি ট্রাক ঘাটে যেতে হবে । সেখান তেকে বিকাল ৩.০০ টায় সি ট্রাক দিয়ে মনপুরায় যাওয়া যায় ।এছাড়া ঢাকা তেকে আসা লঞ্চেও মনপুরা যাওয়া যায় । আথবা দিনের বিভিন্ন সময় ট্রলার যোগেও মনপুরা যাওয়া যায় ।
বিগত এক দশক আগে চর মনপুরায় বন্য়ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়, যা থেকে এটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানে পরিনত হয় । এখানে প্রতি বছর ঐতিহ্যবাহী কৃষ্ণপ্রসাদ মেলা বসে । এছাড়া মনপুরার বিভিন্ন বনে হরিণ দেখথতে পাওয়া যায় । আর মনপুরার ইলিশ খুবি সুস্বাদু।
অবস্থান:
ভোলা জেলা
3, চর কুকরি মুকরি







কিভাবে যাওয়া যায়:
ভোলা থেকে প্রথমে চর ফ্যাশন এর চর ক্চ্ছপিয়াতে যেতে হবে । সেখান থেকে ট্রলার, নৌকা আথবা ছোট ছোট লঞ্চ দিয়ে চর কুকরি মুকরি যাওয়া যায় ।
বিগত এক দশক আগে চর কুকরি মুকরিতে বন্য়ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়, যা থেকে এটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানে পরিনত হয় ।। এছাড়া চর কুকরি মুকরি বিভিন্ন বনে হরিণ দেখথতে পাওয়া যায় । এখানে নারিকের বাগান রয়েছে যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় । িএখানে মেঘনা নদীর ঢেউ এমন রূপ পায় যা দেখলে মনে হবে আপনি সাগরের কোন সৈকতে অবস্থান করছেন । এখানে আছে বালু চর । এখানে আসলে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারবেননা  প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করবে ।

অবস্থান:
ভোলা জেলা
4, দেউলি
কিভাবে যাওয়া যায়:
ভোলা থেকে বাসযোগে বোরহানুদ্দিন উপজেলায় যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে রিক্সাযোগে অথবা অটো রিক্সা দিয়ে যাওয়া যায় ।
বোরহানুদ্দিন উপজেলার িএকটি সপ্রাচীন জনপদ হল দেউলি ।ইতিসের পাতা থেকে জানা যায় যে , এই জনপদে একসময় রাজা জয়দেবের ছোচ সময়ে বিদ্যাসুন্দরী ও তার স্বামী বসবাস করত। দেউলির গুরিন্দাবাঢ়িতে এরই সাক্ষ্য বহন করে দাঢ়ড়য়ে আছে একটি প্রাচীন ভবন। এ ছাড়াও দেউলিতে দবদ্যাসুন্দরী নামে একটি ধীঘি রযয়ছে, যার প্রত্নতাত্তিক মূল্য অপরিসীম ।
অবস্থান:
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা ।
5, মনপুরা ফিশারিজ লিমিটেড



কিভাবে যাওয়া যায়:
ভোলা থেকে প্যথমে তজুমুদ্দিন সি ট্রাক ঘাটে যেতে হবে । সেখান তেকে বিকাল ৩.০০ টায় সি ট্রাক দিয়ে মনপুরায় যাওয়া যায় ।এছাড়া ঢাকা তেকে আসা লঞ্চেও মনপুরা যাওয়া যায় । আথবা দিনের বিভিন্ন সময় ট্রলার যোগেও মনপুরা যাওয়া যায় । মনপুরা ঘাটে নেমে রিক্সা অথবা অটো রিক্সা যোগে যাওয়া যায় ।
এটি স্থানীয় ফার্ম হাউজ ও পর্যটন অবকাশযাপন কেন্দ্রটির চিত্রা হরিণ, ডেইরী ফার্ম, পুকুর, বাগান ও নারিকেল গাছের সারিসহ সব ধরনের আধুনিক সুবিধা ভোলার অন্যতম প্রধান একটি পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।
অবস্থান:
ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলা ।
6, ঢাল চর


কিভাবে যাওয়া যায়:
ভোলা থেকে প্রথমে চর ফ্যাশন এর চর ক্চ্ছপিয়াতে যেতে হবে । সেখান থেকে ট্রলার, নৌকা আথবা ছোট ছোট লঞ্চ দিয়ে ঢাল চর যাওয়া যায় ।
বিগত এক দশক আগে ঢাল চর বন্য়ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়, যা থেকে এটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানে পরিনত হয় ।। এছাড়া ঢাল চর বিভিন্ন বনে হরিণ দেখথতে পাওয়া যায় । ঢাল চরের দক্ষিণ  দিক বঙ্গোপসাগরের সাথে মিশে একটি সৈইকতের সৃষ্টী হয়েছে। আর এই স্থানটির নাম হল তারুয়া । ইতোমধ্যে তারুয়া স্থানটি অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করে নিয়েছে । এখানকার কেওড়া বাগানটি এর সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ।  এখানে মেঘনা নদীর ঢেউ এমন রূপ পায় যা দেখলে মনে হবে আপনি সাগরের কোন সৈকতে অবস্থান করছেন । সরকার যদি একটু নজর দেয় তাহলে এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানে পরিণত হতে পারে ।
অবস্থান:
7, মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেশন



কিভাবে যাওয়া যায়:
হাজিরহাট সদর থেকে পায়ে হেঁটে মাত্র ৫ মিনিটে ল্যান্ডিং স্টেশনে যাওয়া যায়।
মনপুরার প্রধান শহরের প্রায় ৫ শত গজ পশ্চিমে মেঘনা নদীর কিনারায় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয় ল্যান্ডিং স্টেশনটি। ২০০৫ সালের শেষের দিকে বরিশালস্থ মেসার্স রুপালী বিল্ডার্স ল্যান্ডিং স্টেশনের কাজ শুরু করে। যাত্রীবাহী সী-ট্রাক সহ অন্যান্য লঞ্চ-নোঙ্গরের পাশাপাশি যাত্রীদের উঠানামায় দারুন সুবিধা হবে ভেবে ল্যান্ডিং ষ্টেশনটি নির্মিত হয়। মেঘনার প্রচন্ড স্রোতের তীব্রতায় ল্যান্ডিং স্টেশনের সামনের ৪টি পিলার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। একপর্যায়ে পিলারগুলো নদী থেকে উঠিয়ে পুনরায় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে কাজ শুরু করে ঠিকাদার। পরবর্তীতে কাজও সম্পন্ন করা হয়। সী-ট্রাকসহ অন্যান্য যাত্রীবাহী লঞ্চ , ট্রলার পিলারের সাথে বেধে নঙ্গর করে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এটি নির্মিত হলেও বর্তমানে সে ব্যাপারে কোন কাজে আসছেনা।

মনপুরাবাসী একদিকে নিরাশ হলেও অন্যদিকে বিকালের আড্ডায় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন ল্যান্ডিং স্টেশনকে। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী বিনোদন কেনদ্র হিসেবে এখানে ঘুড়তে আসে। পড়ন্ত বিকেলে এখানকার আড্ডায় পর্যটনের একটি উপাদান হিসেবে বেছে নিয়েছেন সূর্য অস্ত যাওয়ার অপরুপ দৃশ্য। এখানকার হাজার হাজার মানুষের মনকে প্রফুল্ল করতে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই স্থাপনাটি বর্তমানে রাক্ষুসে মেঘনার যাতাকলে পিষ্ট।
অবস্থান:
হাজিরহাট লঞ্চ ঘাট
 

No comments:

Post a Comment

 
Blogger Templates